0 / 0
3809/জিলহজ/1446 , 05/জুন/2025

ইসলাম সকল নবীর ধর্ম

প্রশ্ন: 172775

ইসলাম এর আচার-অনুষ্ঠান ও মূল্যবোধে এক মহান ধর্ম। কিন্তু এটি সর্বশেষ প্রকাশ পাওয়া ধর্ম। আমার প্রশ্ন হলো: কেন আদম আলাইহিস সালামের সময় থেকে তথা শুরু থেকেই এই ধর্মের প্রকাশ ঘটল না? সে সময়ে কি নামায বা অনুরূপ কিছু ছিল যা ত্যাগ করলে মানুষ শাস্তি পেত?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর

এই প্রশ্ন এমন ব্যক্তির মনে আসতে পারে যে মনে করে ইসলাম ধর্ম পূর্ববর্তী আসমানী বাণীসমূহ থেকে বিচ্ছিন্ন। ইহুদি-খ্রিষ্টানরা এ ধরণের কথা প্রচার-প্রসারের চেষ্টা করেছে। তবে কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্যসমূহ নিশ্চিত করে যে ইসলাম পূর্ববর্তী ধর্মসমূহের পূর্ণতা দানকারী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং পূর্ববর্তী নবীরা যা নিয়ে এসেছেন তা সবই একই উৎস থেকে উৎসারিত। সেটি হচ্ছে ইলাহি ওহী, যা মানবতার মাঝে হেদায়াত ও সৌভাগ্যের আলোকধারা প্রবাহিত করেছে।

মহান আল্লাহ বলেন:

وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ

“মুহাম্মাদ একজন রাসূল বৈ আর কিছু নন। তাঁর আগেও অনেক রাসূল অতিবাহিত হয়েছে।”[সূরা আলে-ইমরান: ১৪৪]

তিনি আরো বলেন:

إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ

“আল্লাহর কাছে ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।”[সূরা আলে-ইমরান: ১৯]

এছাড়াও তিনি বলেন:

قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنَ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُبِينٌ

“বল: ‘আমি তো রাসূলদের মাঝে নতুন নই (আমি তো প্রথম রাসূল নই)। আমি জানিও না, আমার ও তোমাদের সাথে কী আচরণ করা হবে। আমার কাছে যে ওহী পাঠানো হয় আমি শুধু তাই মেনে চলি। একজন স্পষ্ট সতর্ককারী ছাড়া আমি আর কিছু নই।”[সূরা আহক্বাফ: ৯]

পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারী ঈমানদার সবাই ব্যাপক অর্থে মুসলিম ছিলেন। তারা তাদের ইসলামের কারণে জান্নাতে যাবেন। তবে যদি তাদের কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবুয়তকাল পেয়ে থাকে তাহলে তাঁকে অনুসরণ করা ছাড়া তাদের থেকে কিছু গ্রহণ হবে না।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

“যে ব্যক্তি তাওরাত অথবা ইঞ্জিলের অপরিবর্তিত এবং অ-রহিত শরীয়তের অনুসারী সে দ্বীন ইসলামের উপরই আছে। যেমন: যারা ঈসা আলাইহিস সালামের আগমনের পূর্বে তাওরাতের অপরিবর্তিত শরীয়তের অনুসারী ছিল এবং যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের পূর্বে ইঞ্জিলের অপরিবর্তিত শরীয়তের অনুসারী ছিল।”[সমাপ্ত][মাজমুউল ফাতাওয়া (২৭/৩৭০)]

আল্লাহ যেহেতু আমাদেরকে জানিয়েছে যে তার কাছে ধর্ম হচ্ছে: ইসলাম, আর প্রত্যেক রাসূল তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে তাওহীদের দাওয়াত তথা ইসলাম নিয়ে এসেছেন, সেহেতু আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে আল্লাহ তার বান্দাদের যে ধর্ম অবলম্বন করার প্রতি সন্তুষ্ট তা হচ্ছে­­ ইসলাম। অর্থাৎ তাওহীদের আকীদা, যা ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ এবং সত্য, ন্যায় ও সচ্চরিত্রের মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই সেই ধর্ম যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন আদম আলাইহিস সালাম এবং এই ধর্ম নিয়েই প্রেরিত হয়েছেন সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

মহান আল্লাহ বলেন:

وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ

“আমি তোমার পূর্বে যে রাসূলই প্রেরণ করেছি তাকে এই ওহী পাঠিয়েছি যে, 'কোন উপাস্য সত্য নয়; আমি ছাড়া'; অতএব, তোমরা আমারই উপাসনা করো।”[সূরা আম্বিয়া: ২৫]

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি দুনিয়া ও আখিরাতে ঈসা ইবনে মারিয়ামের ঘনিষ্ঠতম। নবী‎গণ একে অন্যের বৈমাত্রেয় ভাই। তাঁদের মা ভিন্ন ভিন্ন; কিন্তু ধর্ম (আকিদা) অভিন্ন।”[হাদীসটি বুখারী (৩৪৪৩) ও মুসলিম (২৩৬৫) বর্ণনা করেন]

হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘হাদীসটির অর্থ হলো তাদের ধর্মের মূলভিত্তি অভিন্ন। আর সেটি হলো তাওহীদ (একত্ববাদ), যদিও তাদের শরীয়তগুলোর শাখা-প্রশাখা বিভিন্ন।’[সমাপ্ত][ফাতহুল বারী (৬/৪৮৯)]

ড. উমর আল-আশক্বার হাফিযাহুল্লাহ বলেন:

“কুরআনীয় ব্যবহারে 'ইসলাম' বিশেষ কোনো ধর্মের নাম নয়। বরং এটি ঐ সাধারণ ধর্মের নাম যার দিকে সকল নবী দাওয়াত দিয়েছেন। নূহ তার সম্প্রদায়কে বলেছেন:

وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ

“আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আদিষ্ট হয়েছি।”[সূরা ইউনুস: ৭২]

ইসলাম হচ্ছে ঐ ধর্ম যা গ্রহণ করার জন্য আল্লাহ নবীদের পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন:

إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ

“যখন তার প্রভু তাকে বললেন: তুমি 'ইসলাম গ্রহণ করো' তখন সে বলল: আমি জগতসমূহের প্রভুর প্রতি ইসলাম (আত্মসমর্পণ) গ্রহণ করেছি।”[সূরা বাকারা: ১৩১]

ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও ইয়াকূব আলাইহিস সালাম প্রত্যেকে নিজ নিজ সন্তানদেরকে এই ধর্মের দিকে আহ্বান করে বলেন:

فَلاَ تَمُوتُنَّ إَلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ

“অতএব তোমরা মুসলিম থাকা ব্যতীত মৃত্যুবরণ করো না।”[সূরা বাকারা: ১৩২]

ইয়াকূব আলাইহিস সালামের সন্তানেরা তার বাবাকে এই বলে উত্তর দেন:

نَعْبُدُ إِلَهَكَ وَإِلَهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ إِلَهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ

“আমরা আপনার এবং আপনার পূর্বপুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্য তথা এক উপাস্যের ইবাদত করব। আর আমরা তার প্রতি মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী)।”[সূরা বাকারা: ১৩৩]

মুসা আলাইহিস সালাম তার সম্প্রদায়কে বলেন:

يَا قَوْمِ إِن كُنتُمْ آمَنتُم بِاللهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُواْ إِن كُنتُم مُّسْلِمِينَ

“হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান থাকে তাহলে তার উপর ভরসা করো, যদি তোমার (আল্লাহর ইচ্ছার কাছে) মুসলিম হও।”[সূরা ইউনুস: ৮৪]

হাওয়ারীরা ঈসা আলাইহিস সালামকে বলেছিলেন:

آمَنَّا بِاللهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ

“আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা মুসলিম।”[সূরা আলে-ইমরান: ৫২]

আহলে-কিতাবের একটি দল যখন কুরআন শুনতে পেল তখন এভাবে বলেছিল:

قَالُوا آمَنَّا بِهِ إِنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّنَا إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلِهِ مُسْلِمِينَ

“আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। নিশ্চয় এটা আমাদের প্রভুর কাছ থেকে আগত সত্য। আমরা এর আগেও মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী) ছিলাম।”[সূরা কাসাস: ৫৩]

তাই ইসলাম একটি সাধারণ অভিধা। ইতিহাসের প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে মুহাম্মাদী নবুয়তের যুগ পর্যন্ত নবীরা ও তাঁদের অনুসারীদের বচনে যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।”[সমাপ্ত][আর-রুসুল ওয়ার-রিসালাত: (পৃ. ২৪৩)]

কিন্তু পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের শরীয়ত তথা ফিকহী বিধি-বিধান রাসূলদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তের মাধ্যমে রহিত করা হয়েছে এবং পরিবর্তন করা হয়েছে। আল্লাহ তাঁকে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত (আইন) দিয়েছেন যা সকল যুগ ও স্থানের জন্য উপযুক্ত। তিনি সকল মানুষকে এই শরীয়ত অনুসরণ করার এবং তারা পূর্ববর্তী রাসূলদের যে শরীয়তের অনুসরণ করত সেগুলো পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বরং আলেমরা মনে করেন যে পূর্ববর্তী রাসূলদের শরীয়তগুলো খুঁটিনাটি কিছু বিষয় রহিত করা হয়েছে। কিন্তু শরীয়তগুলোর সার্বিক, মৌলিক ও সামগ্রিক বিষয়গুলো এক ও অভিন্ন।

শাতিবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

‘মূলনীতিগুলো তথা আবশ্যকীয়, প্রয়োজনীয় ও উত্তম বিষয়াবলীর মধ্যে রহিতকরণ ঘটেনি। বরং রহিতকরণ ঘটেছে কেবল শাখাগত বিষয়াবলীর মধ্যে। এটি আরোহী দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত। ... বরং উসূলবিদরা দাবি করেন যে, আবশ্যকীয় বিষয়গুলো সকল শরীয়তে বিবেচ্য। ... একই কথা প্রয়োজনীয় ও উত্তম বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার দাবি রাখে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ

“তিনি তোমাদের জন্য সেই ধর্ম (একত্ববাদ) বিধিবদ্ধ করেছেন যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি তোমাদের কাছে নাযিল করেছি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মুসা ও ঈসাকেও; এই বলে যে, “তোমরা ধর্ম (একত্ববাদ) প্রতিষ্ঠিত করো এবং এক্ষেত্রে দলাদলি করো না।”[সূরা শূরা: ১৩]

তিনি আরো বলেন:

فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ أُولُو الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ

“অতএব, তুমি ধৈর্যধারণ করো, যেভাবে ধৈর্যধারণ করেছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ।”[সূরা আহকাফ: ৩৫]

অনেক নবীর নাম উল্লেখ করার পর আল্লাহ বলেন:

أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللَّهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ

“তাদেরকে আল্লাহ সুপথগামী করেছেন; অতএব, তুমি তাদের পথই অনুসরণ করো।”[সূরা আন’আম: ৯০]

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرَاةُ فِيهَا حُكْمُ اللَّهِ

“তারা কীভাবে বিচারের জন্য আপনার কাছে আসে অথচ তাদের কাছে তাওরাত রয়েছে, যার মধ্যে আল্লাহর বিধান রয়েছে?”[সূরা মায়েদা: ৪৩][সমাপ্ত][আল-মুওয়াফাক্বাত: (৩/৩৬৫)]

ড. উমর আল-আশক্বার বলেন:

‘শরীয়তগুলো পর্যবেক্ষণকারী লক্ষ্য করবেন যে, মূল মাসয়ালাগুলোর ক্ষেত্রে সবগুলো শরিয়ত অভিন্ন। ইতঃপূর্বে সেই উদ্ধৃতিগুলো উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর আল্লাহ কর্তৃক নামায, যাকাত, হজ্জ ও হালাল খাবার গ্রহণ প্রভৃতি বিধান আরোপের আলোচনা করে। শরিয়তগুলোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ের ক্ষেত্রে। যেমন: নামাযের সংখ্যা, নামাযের শর্তাবলি, নামাযের আরকান, যাকাতের পরিমাণ, হজ্জের স্থান প্রভৃতি বিষয় এক শরীয়ত থেকে অন্য শরীয়তে ভিন্ন। আল্লাহ কোন গূঢ় রহস্যের (হেকমতের) কারণে একটি বিষয় কোনো এক শরীয়তে হালাল করেন; আবার অন্য কোন গূঢ় রহস্যের কারণে অন্য শরীয়তে সেটাকে হারাম করেন।’[‘আর-রুসুল ওয়ার-রিসালাত’ (পৃ. ২৫০) থেকে সমাপ্ত]

এখানে যে বিষয়টি তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো: মহান ইসলাম সকল নবীর ধর্ম। এর প্রকাশ ঘটেছে আমাদের পিতা আদম আলাইহিস সালামের নবুয়তী যামানা থেকেই। প্রত্যেক রাসূলের বার্তা ছিল ইসলামের দিকে আহ্বান করা, ইসলামের আকীদা, মৌলিক বিধি-বিধান তথা নামায, রোজা, যাকাত ও হজ্জের দিকে দাওয়াত দেয়া। এ সবগুলোই পূর্ববর্তী উম্মতগণের কাছে ছিল। আল্লাহ তাঁর নবী ইসমাঈল আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বলেন:

وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَكَانَ عِنْدَ رَبِّهِ مَرْضِيًّا

“সে তার পরিবার-পরিজনকে নামায ও যাকাতের নির্দেশ দিত। সে ছিল তার রবের কাছে পছন্দনীয়।”[সূরা মারইয়াম: ৫৫]

পূর্ববর্তী উম্মতদের জন্য রোযার বিধান আরোপ করার দলীল হলো আল্লাহর বাণী:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও তা ফরয করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”[সূরা বাকারা: ১৮৩]

আর হজ্জ আমাদের নেতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের সময় থেকেই বিদ্যমান। মহান আল্লাহ বলেন:

وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ

“আর আপনি মানুষের মাঝে হজ্জের ঘোষণা দিন; তখন তারা আপনার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে ও প্রতিটি শীর্ণকায় বাহনের পিঠে চড়ে, তারা আসবে প্রতিটি গভীর গিরিপথ (দূর-দূরান্ত থেকে) থেকে।”[সূরা হজ্জ: ২৭]

আর কিছু বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে বা খুঁটিনাটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যে ব্যতিক্রম সেটা ছিল সংশ্লিষ্ট সময়ে বান্দাদের কাছ থেকে আল্লাহর চাওয়া অনুযায়ী। যেহেতু শরীয়তগুলো ছিল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত; সংশ্লিষ্ট যুগোপযোগী ও মানুষের কল্যাণের উপযোগী।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android
ইসলাম সকল নবীর ধর্ম - ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব